দুই দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়!! 2dyas weekend trip Kolkata to Purulia



🧳কলকাতা থেকে পুরুলিয়া: সপ্তাহের ২ দিনের ছুটি কাটাতে চান ফ্যামিলি বা প্রিয় মানুষটার সঙ্গে চলে আসুন পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড় 

🏞️ কেন পুরুলিয়া যাবেন?

কলকাতা থেকে মাত্র ৬ ঘন্টা দূরে অবস্থিত পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের এক লুকানো রত্ন পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড় । মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, গ্রাম্য পরিবেশ, প্রাচীন মন্দির এবং ছৌ নৃত্যের জন্য পুরুলিয়া পরিচিত, এই অঞ্চলটি সপ্তাহান্তে অল্প সময়ের জন্য ছুটি কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। আপনি পুরুলিয়ার প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছাকাছি একটি শান্তিপূর্ণ এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা জায়গাই নিজেকে খুঁজে পাবেন।

🚗 কিভাবে যাবেন? 

ট্রেন মাধ্যমে এলে: হাওড়া থেকে নিয়মিত ট্রেন ছাড়ে যেমন, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এই দুটি ট্রেন ছাড়াও আরও অনেক ট্রেন আছে। সময় লাগে মাত্র ৫ ঘন্টা।

সড়কপথে এলে: কলকাতা থেকে পুরুলিয়ার দূরত্ব ৩০০ কিমি। জাতীয় সড়ক ১৯ দিয়ে গাড়িতে যেতে ৬-৭ ঘন্টা সময় লাগে।

বাসযোগে এলে: এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাস পাওয়া যায়।

Rupashi Bangla Express/ SBSTC Bus


📅 প্রথম দিন ১: 🕕 সকাল ৬:০০ টা তাড়াতাড়ি যাত্রা শুরু করুন পুরুলিয়া স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে অযোধ্যা পাহাড় এর পথে রওনা দিলেন, সবুজ প্রকৃতির উপভোগ করতে করতে সিরকাবাদে আখ চাষ এবং অযোধ্যার আঁকাবাঁকা ও আদিবাসী গ্রাম উপভোগ করতে করতে হিলটপ পৌঁছে যাবেন।

🕚 সকাল ১১:০০ টার অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপ পৌঁছে কোনো ইকো-রিসোর্ট বা হোমস্টেতে চেক-ইন করুন এবং ফ্রেশ হোন। তারপর আপনার ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হোন, এবং একটি অ্যাডভেঞ্চারের জন্য প্রস্তুত হোন!

🕛 দুপুর ১২:০০ টার সময় বামনি জলপ্রপাত (Bamni Waterfalls) এবং তুর্গা জলপ্রপাত (Turga Waterfalls) দেখুন একটি শান্ত জঙ্গল ও মনোরম পরিবেশে আপনার মন ফুরফুরে ও তরতাজা হয় যাবে। তারপর তুর্গা জলপ্রপাতের দিকে যান এটা ছবি তোলার জন্য উপযুক্ত জায়গা ।

🕒 বিকেল ৩:০০ টার সময় মুরগুমা ড্যাম জান পাহাড়ে ঘেরা একটি শান্ত, লুকানো জায়গা। নৌকা ভ্রমণ এবং প্রকৃতির  মাঝে হাঁটার সুযোগ রয়েছে।

 🕓 বিকাল ৪:০০ টার সময় আপনি চড়িদা ছৌ মুখোশ গ্রাম ঘুরুন সেখানে ছৌ মুখোশ তৈরির কাজ ও শিল্পর প্রতিভা দেখতে পারেন। আপনি কারিগরদের কর্মক্ষেত্রে লাইভ দেখতে পারেন এবং স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে হাতে তৈরি মুখোশ কিনতে পারেন।

🕖 সন্ধ্যা ৭:০০ টার সময় বন-ফায়ার এর সঙ্গে দেশি মোরগ রোস্ট করে খেতে পারেন এবং তার পর রাত্রিতে স্থানীয় আদিবাসী খাবার উপভোগ করুন। কিছু রিসোর্টে ছৌ নৃত্য পরিবেশনারও আয়োজন করা হয় যা পুরুলিয়া সংস্কৃতির একটি আকর্ষণীয় দিক।

📅 দ্বিতীয় দিন ২: গড় পঞ্চকোট ও জয়চণ্ডী পাহাড়

 গড়পঞ্চকোট  (Garh Panchkot)

জয়চণ্ডী পাহাড় (Joychandi Pahar)
                                                          

🕡 সকাল ৬:৩০ টার সময় জয়চণ্ডী পাহাড়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান, সূর্যোদয়ের জন্য জয়চণ্ডী পাহাড়ের চূড়ায় পৌছে যান। এটি একটি শান্তিপূর্ণ স্থান এবং Adventure প্রেমী দের জন্য আনন্দের কারণ প্রতি বছর ডিসেম্বরে এই জায়গায় Rock climbing course হয় । জয়চণ্ডী পাহাড় সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশেও এটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।

🕘 সকাল ৯:০০ টার সময় টিফিন করুন এবং গড়পঞ্চকোট উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান গড়পঞ্চকোট পৌঁছে মনোরম দৃশ্য এবং মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ সহ একটি পুরানো দুর্গ দেখুন।

                                                                   

বরন্তী দীঘি (Baranti Lake)
                                                                 
বরন্তী দীঘি (Baranti Lake)


🕛 দুপুর ১২:০০ – বরন্তী দীঘি সবুজে ঘেরা একটি শান্ত জলাধার পুরুলিয়ার পাহাড়ে অবস্থিত বরন্তী দীঘি, প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ছুটির স্থান। বন এবং মুরাডি বাঁধ দ্বারা বেষ্টিত। কলকাতা থেকে প্রচুর মানুষ ভ্রমণের জন্য ও বরন্তীর সূর্যাস্ত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিশ্রুতি দেয় - পশ্চিমবঙ্গে সত্যিই একটি লুকানো রত্ন।

🕒 বিকেল ৩:০০ টার সময় আদ্রা বা জয়চণ্ডী স্টেশন থেকে কলকাতার ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরতে পারেন , পুরুলিয়ার স্মৃতি ও কিছু ফটো স্মৃতি হিসাবে নিয়ে পুরুলিয়া থেকে বাড়ি ফিরুন। সন্ধ্যার মধ্যে আপনি কলকাতায় পৌঁছে যাবেন।

লেখা: আকাশ বাউরি, পুরুলিয়া 

ভালো লাগলে ও কিছু উপকার পেলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না, আপনার একটা কমেন্ট আমাকে আরও প্রেরণা দেবে 

 



মন্তব্যসমূহ